বিরোধীদল বিএনপি বলছে উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পঞ্চগড়ে তাদের গণমিছিল কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে তার জের ধরে সংঘর্ষের সময় দলটির স্থানীয় এক নেতা নিহত হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হওয়া মিছিলে পুলিশ বাধা দিতে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। বিএনপি দাবি করছে, নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রশিদ এবং তিনি দলের একজন স্থানীয় নেতা।
পুলিশ সুপার সিরাজুল হুদা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগান থেকে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়।
তিনি অবশ্য বলেন, সংঘর্ষ হলেও ওই ব্যক্তি সেখানে মারা যাননি। বরং ওই ব্যক্তি আগে থেকেই সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে দাবি করেন মিস্টার হুদা।
তবে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রফিকুল হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, নিহতের দেহে কোন বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন নেই, এবং তাকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তবে যেহেতু এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে – তাই মৃতদেহের পোস্ট মর্টেম করা হবে এবং তারপরই প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি দেশজুড়ে জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে গণমিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি পালন করেছে।
তবে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন আর রংপুরে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে এই দুই শহরে কোনো কর্মসূচি বিএনপির পক্ষ থেকে পালন করা হয়নি। ত্রিশে ডিসেম্বর ঢাকায় এ গণমিছিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি বলছে, পঞ্চগড়ে সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম আবদুর রশিদ এবং তিনি জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক।
শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বিএনপির মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয় এবং এরপরই ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগান থেকে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সিরাজুল হুদা।
ওদিকে ঢাকা থেকে দলটির সিনিয়র নেতারা গিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণমিছিল ও সমাবেশগুলোতে যোগ দিয়েছেন।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ আব্দুল মঈন খান খুলনায় ও কুমিল্লায় সমাবেশে নেতৃত্ব দিয়েছেন নজরুল ইসলাম খান।
(সংবাদ উৎস: BBC – বাংলা )