মুশফিকুর রহিম ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময়টা চার নম্বরেই কাটিয়েছেন, তার নামের পাশে যত রেকর্ড যত সংখ্যা সবই এসেছে এই ব্যাটিং পজিশনে ব্যাট করে।

একশোরও বেশি ইনিংস ব্যাট করে তিনি চার হাজারের বেশি রান তুলেছেন প্রায় ৪৪ গড়ে, স্ট্রাইক রেটও ছিল তুলনামূলক ভালো, ৮৩।

মুশফিকুর রহিম চার নম্বরে ব্যাট করে আটটি সেঞ্চুরি, আঠাশটি হাফ সেঞ্চুরি তলে নিয়েছেন।

তিনি তার নবম সেঞ্চুরিটি করেছেন সোমবার, এই সেঞ্চুরিটিই মুশফিকের বদলে যাওয়ার একটা ইঙ্গিত।

এর আগে ২০১১ সালে চারে নেমে সেঞ্চুরি করে নিজের জায়গা পাঁকা করেছিলেন, এবারে দলে জায়গা পাঁকা করছেন ছয়ে নেমে সেঞ্চুরি করে।

কারণ চার নম্বরে মুশফিকের সাম্প্রতিক বছরগুলো ততটা ভালো যায়নি যতটা তার কাছ থেকে প্রত্যাশা ছিল।

রানের চেয়েও বেশি ভাবনার বিষয় ছিল মুশফিকুর রহিমের রান তোলার গতি।

আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা একটা চিন্তার বিষয়।

তাই মুশফিক যখন রানের গতি বাড়ালেন এবং সফল হলেন, বাংলাদেশ পরপর দুই ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে রানের রেকর্ডও গড়লো।

গত চার বছরে সাতটি ইনিংসে মুশফিক ১০০ বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন, যার মধ্যে শেষ দুই ইনিংসেই দুই বার ছয় নম্বরে নামার পর।

মুশফিকুর রহিম ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন এনেছেন

ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ঘরোয়া ক্রিকেটার সৈয়দ আবিদ হুসেইন সামির মতে, মুশফিক টেকনিকের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃঢ় ব্যাটসম্যান।

এই বিশ্লেষকের মতে বিশ্বকাপের বছর তাই সিনিয়র ক্রিকেটারদের এমন পারফরম্যান্স প্রয়োজন একই সাথে সিনিয়র ক্রিকেটার ও তার‍ুণ্যের যে মিশেল এখন দেখা যাচ্ছে এটা দরকার ছিল।

তৌহিদ হৃদয় যেমন এসেই পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন।

সৈয়দ আবিদ হুসেইন সামির মতে, “টেকনিকে কোনও সমস্যা না থাকলেও মুশফিকের বাস্তবায়নে খানিকটা গড়মিল হচ্ছিল যে কারণে মুশফিক ঠিক আগের মতো পারফর্ম করতে পারছিলেন না। এবারে মুশফিক বাস্তবায়ন করে আগ্রাসী ও আক্রমণাত্ম ব্যাটিং করতে পারছেন।”

৬০ বলে ১০০ রানের ইনিংসে মুশফিকুর রহিম স্কুপ শট খেলেছেন উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে, ইনসাইড আউট খেলেছেন হাঁটু গেড়ে, উইকেটের চারিপাশে সাচ্ছন্দ্যে ব্যাট চালিয়েছেন।

এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যই ইতিবাচক বলে মনে করেন মি. হুসেইন।

মুশফিকুর রহিম বা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো ক্রিকেটারদের জন্য এই বছরটা গুরুত্বপূর্ণ।

একদিকে বিশ্বকাপ অন্যদিকে দুজনই ৩৬ বছর পার করে ফেলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি দল থেকেও বাদ পড়েছেন সম্প্রতি।

(সংবাদ উৎস: BBC – বাংলা )